ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্ত এবার সম্পূর্ণ করলেন চলচ্চিত্র জীবনের ৫০ বছর। তাঁর এই সাফল্যকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রজনীকান্তের যাত্রা একেবারেই আইকনিক, যা শুধু চলচ্চিত্র শিল্পকেই নয়, কোটি ভক্তের হৃদয়কেও সমৃদ্ধ করেছে।”
রজনীকান্তের চলচ্চিত্র জীবনের সোনালি অধ্যায়
রজনীকান্তের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে, কন্নড় ও তামিল সিনেমার মাধ্যমে। আজ ৫০ বছর পর তিনি শুধুমাত্র একজন অভিনেতা নন, বরং একটি ব্র্যান্ড, একটি প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাঁর অনন্য স্টাইল, ডায়লগ ডেলিভারি, এবং ক্যারিশমা তাঁকে দক্ষিণ ভারত থেকে সারা দেশে পৌঁছে দিয়েছে।
তাঁর জনপ্রিয় ছবির মধ্যে রয়েছে – বাশা, এন্তিরান (রোবট), কাবালি, পেট্টা এবং সম্প্রতি জেলার। প্রতিটি সিনেমা ভক্তদের কাছে এক একটি আবেগ।

নরেন্দ্র মোদীর বার্তা ও তার তাৎপর্য
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে উল্লেখ করেন, “রজনীকান্ত শুধু সিনেমা জগতে নয়, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতীক। তাঁর নম্রতা এবং পরিশ্রম তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।”
এটি শুধু একজন অভিনেতাকে অভিনন্দন জানানোর বার্তা নয়; বরং ভারতীয় চলচ্চিত্রের গৌরবময় ইতিহাসকেও স্বীকৃতি দেওয়া। রজনীকান্তের মতো কিংবদন্তি শিল্পীরা প্রমাণ করেছেন, সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার একটি মাধ্যম।
ভক্ত ও ইন্ডাস্ট্রির প্রতিক্রিয়া
রজনীকান্তের এই ৫০ বছরের যাত্রা উপলক্ষে ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে তুলেছেন। অনেক প্রযোজক, পরিচালক ও সহ-অভিনেতারা বলেছেন, রজনীকান্ত ভারতীয় সিনেমার লিভিং লেজেন্ড।
তামিলনাড়ু সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর সম্মানে বিশেষ স্ক্রিনিং এবং উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।

উপসংহার
রজনীকান্তের ৫০ বছরের চলচ্চিত্র যাত্রা কেবল একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় অধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা এই যাত্রাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।
👉 আপনি কি রজনীকান্তের ভক্ত? তাঁর কোন সিনেমাটি আপনার সবচেয়ে প্রিয়? মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না এবং আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।