ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের এক উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে ঘটল বিতর্কিত এক ঘটনা। ইংল্যান্ডের পেসার গাস অ্যাটকিনসনের বলে আউট হওয়ার পরও ক্রিজ ছাড়তে অস্বীকার করলেন ভারতের অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। এই আচরণে হতবাক ক্রিকেটবিশ্ব, এবং প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং কড়া ভাষায় দায় চাপালেন সুন্দর-এর উপর।
কী ঘটেছিল মাঠে?
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। অ্যাটকিনসনের বল ব্যাটে লেগে উইকেটকিপারের গ্লাভসে যাওয়ার পর আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ না করেও ক্রিজ ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন।
এই ঘটনায় বিরক্ত হয় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপের পরই অবশেষে সুন্দর মাঠ ছাড়েন।

রিকি পন্টিংয়ের প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পরে ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রিকি পন্টিং বলেন,
“সুন্দর জানতেন যে তিনি আউট, কিন্তু তারপরেও ক্রিজ ছাড়তে অস্বীকার করেছেন। এটা খেলাধুলোর নীতির পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, এধরনের আচরণ ভবিষ্যতে মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে নেতিবাচক বার্তা দেবে এবং তরুণ ক্রিকেটারদের ভুল দিক দেখাবে।
পন্টিং-এর মতে, সুন্দর এমন একজন খেলোয়াড় যিনি আগেও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, এবং এমন আচরণ তার থেকে প্রত্যাশিত ছিল না।
বিতর্ক এবং সামাজিক মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া
ঘটনার ভিডিও ক্লিপ মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেকেই সুন্দর-এর পক্ষ নিয়েছেন, বলছেন তিনি নিশ্চিত ছিলেন বল ব্যাটে লাগেনি। আবার অনেকেই এই ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’-এর লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
টুইটারে এক ব্যবহারকারী লেখেন,
“সুন্দর যদি নিশ্চিত হতেন যে বল ব্যাটে লাগেনি, তবে রিভিউ নেওয়া উচিত ছিল। এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অপ্রয়োজনীয়।”

ম্যাচের প্রভাব এবং ভবিষ্যতের বার্তা
এই ঘটনার প্রভাব শুধু ম্যাচেই নয়, বরং পুরো সিরিজের মানসিক অবস্থার উপর পড়েছে। ভারতীয় দলে এধরনের মনোভাব ভবিষ্যতে আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে। ক্রিকেট শুধুমাত্র স্কোর কিংবা পারফরম্যান্সের খেলা নয়—এর সঙ্গে যুক্ত আছে নৈতিকতা এবং স্পোর্টসম্যানশিপ।
বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) এখনো এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, পরবর্তী ম্যাচগুলোতে খেলোয়াড়দের আচরণ পর্যবেক্ষণে রাখা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
উপসংহার: খেলার মাঠে আচরণই বড়ো পরিচয়
ওয়াশিংটন সুন্দর যেমন একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়, তেমনি তার উপর রয়েছে এক গুরত্বপূর্ণ দায়িত্বও—জাতীয় দলের প্রতিনিধি হিসেবে খেলার নীতিমালা বজায় রাখা। এই ঘটনার মাধ্যমে আরও একবার মনে করিয়ে দিল, ক্রিকেট শুধু স্কোরবোর্ডের খেলা নয়, এটি নৈতিকতা এবং দায়িত্বের মেলবন্ধন।
📣 আপনার মতামত দিন
এই ঘটনার উপর আপনার কী মতামত? কমেন্টে জানান, এবং প্রতিবেদনটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।