মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাহসী ও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন—ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের যুদ্ধ থামাতে হলে দুই দেশকে জমি বিনিময়ে সম্মত হতে হবে। আলাস্কা সম্মেলনের পর তিনি জানান, এ সংক্রান্ত ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি-র মধ্যে একটি সরাসরি বৈঠকের পরিকল্পনা তাঁর রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাব: যুদ্ধ শেষের জন্য জমি বিনিময়ের সমাধান
ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে হলে উভয় পক্ষকে কিছুটা ছাড় দিতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, জমি বিনিময় যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি বাস্তবসম্মত উপায় হতে পারে।
এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। একদিকে, সমর্থকরা মনে করছেন এটি রক্তপাত বন্ধের জন্য কৌশলগত সমাধান হতে পারে; অন্যদিকে, সমালোচকরা এটিকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

আলাস্কা সম্মেলনের পর কূটনৈতিক পরিকল্পনা
আলাস্কায় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পুতিন ও জেলেনস্কিকে এক টেবিলে বসিয়ে আলোচনার চেষ্টা করবেন। তাঁর দাবি, “এই যুদ্ধ দীর্ঘ হলে উভয় দেশই ধ্বংসের পথে যাবে, এখনই কূটনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।”
আলোচনায় তিনি শান্তির জন্য জমি বিনিময়ের প্রস্তাব রাখবেন, যা অনুযায়ী ইউক্রেনের কিছু বিতর্কিত অঞ্চল রাশিয়ার হাতে যাবে, আর রাশিয়া ইউক্রেনকে যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে সহায়তা দেবে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ
ট্রাম্পের প্রস্তাবে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন নেতা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, জমি বিনিময় দীর্ঘমেয়াদে নতুন সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
তবে কিছু নিরপেক্ষ কূটনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, যদি উভয় দেশই অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতি থামাতে চায়, তবে এই ধরনের সমঝোতা অন্তত আলোচনার টেবিলে আসতে পারে।
উপসংহার: কূটনৈতিক পথে শান্তির সম্ভাবনা
ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ ইতোমধ্যেই হাজারো প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। ট্রাম্পের প্রস্তাব সমাধান হবে কি না তা সময়ই বলবে, তবে এটি স্পষ্ট যে যুদ্ধ থামানোর জন্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।
📢 আপনার মতামত জানান — জমি বিনিময় কি সত্যিই শান্তি আনতে পারে, নাকি এটি ভবিষ্যতের জন্য আরও বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত হবে?