ভারতের সাহসী চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে পরিচিত ভিভেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। দ্য কাশ্মীর ফাইলস এবং দ্য তাশখন্দ ফাইলস–এর সাফল্যের পর এবার তিনি নিয়ে আসছেন দ্য বেঙ্গল ফাইলস। ইতিহাসের অজানা অধ্যায় ও সত্যকে সামনে আনার জন্য অগ্নিহোত্রী সবসময় বিশেষভাবে প্রশংসিত। মুক্তির আগে তিনি দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের কালী মাতা মন্দিরে প্রার্থনা করে আশীর্বাদ নিলেন।
চিত্তরঞ্জন পার্কে ভিভেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রীর বিশেষ সফর
চিত্তরঞ্জন পার্ককে বলা হয় দিল্লির মিনি-বাংলা। এখানে বসবাসকারী বাঙালি সম্প্রদায়ের কাছে কালী মন্দির আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অগ্নিহোত্রী সেখানে উপস্থিত হয়ে মন্দির কমিটির সভাপতির সঙ্গে ছবি তোলেন এবং মুক্তির আগে আশীর্বাদ নেন।
এই সফরকে কেন্দ্র করে দর্শকদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পরিচালক সরাসরি বাংলা সংস্কৃতির হৃদয়ে গিয়ে মানুষের আবেগের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন।

‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ – ইতিহাসের এক কঠিন অধ্যায়
চলচ্চিত্রটি মূলত ১৯৪৬ সালের ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে এবং তার পরবর্তী ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনাকে সামনে আনছে। দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাসের এই অধ্যায় আড়ালে রয়ে গিয়েছিল। ট্রেলারের মুক্তির পর থেকেই এটি ট্রেন্ডিং তালিকায় রয়েছে।
অগ্নিহোত্রী সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় জানান, বাংলার ইতিহাসকে বুঝতে হলে এই সিনেমা অবশ্যই দেখতে হবে। এতে হিন্দু গণহত্যা এবং সামাজিক বিভেদের বাস্তব কাহিনি উঠে আসবে।
চমকপ্রদ তারকা সমাহার
চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী যোশী এবং দর্শন কুমার। প্রযোজনায় রয়েছেন অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী যোশী। ছবিটি উপস্থাপন করছে আই অ্যাম বুদ্ধা প্রোডাকশনস এবং তেজ নারায়ণ আগরওয়াল।
অগ্নিহোত্রীর ফাইলস ট্রিলজি–এর অংশ হিসেবে দ্য বেঙ্গল ফাইলস দর্শকদের ইতিহাসের সত্যের মুখোমুখি করবে। এর আগে এই সিরিজের দুই ছবি—দ্য তাশখন্দ ফাইলস এবং দ্য কাশ্মীর ফাইলস—ভারতজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছিল।
মুক্তির তারিখ ও প্রত্যাশা
দ্য বেঙ্গল ফাইলস মুক্তি পেতে চলেছে ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। দর্শকরা অপেক্ষা করছেন ছবিটি কীভাবে ইতিহাসের সেই গোপন অধ্যায়কে পর্দায় জীবন্ত করে তুলবে তা দেখার জন্য।
উপসংহার
ভিভেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রীর প্রতিটি ছবি কেবল বিনোদন নয়, দর্শকদের চিন্তাভাবনাকে আলোড়িত করেছে। দ্য বেঙ্গল ফাইলসও সেই ধারাবাহিকতায় ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করতে চলেছে।
👉 আপনার মতামত জানান — আপনি কি মনে করেন এই ছবি বাংলার ইতিহাসকে নতুনভাবে আলোচনায় আনবে? নিচে কমেন্ট করুন এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।