সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে একটি পডকাস্ট। সেখানে এক তরুণী রাজস্থানের বিয়ের রীতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, রাজস্থানের কিছু অঞ্চলে নববধূকে নাকি স্বামীর আগে শ্বশুর এবং দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে হয়, এমনকি প্রথম সন্তানও গর্ভপাত করাতে হয়। এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়, রাজস্থানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
महत्वपूर्ण सूचना :~
— NCIB Headquarters (@NCIBHQ) August 29, 2025
—————-
सोशल मीडिया पर वायरल हो रहे एक वीडियो में एक युवती दावा कर रही है कि “राजस्थान में एक परंपरा के तहत शादी के बाद पहले ससुर, फिर देवर और फिर पति का संबंध होता है और जो पहला बच्चा होगा उसे गिरा दिया जाता है।”
उक्त परंपरा के संबंध में @NCIBHQ ने… pic.twitter.com/bKbmBsFMpB
তবে তদন্তে নেমে এনসিআইবি (ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো) জানিয়েছে, তরুণীর দাবিগুলি সম্পূর্ণ ভুয়ো। সংস্থার তরফে প্রকাশ্যে বলা হয়েছে, ‘‘রাজস্থানের কোথাও এ ধরনের প্রথা নেই। এই তথ্য সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।’’ এনসিআইবি জনগণকে সতর্ক করে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়লে তা যাচাই না করে বিশ্বাস করা উচিত নয়।
রাজস্থানের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নিয়ে গর্বিত। সেখানে এ ধরনের ভ্রান্ত তথ্য প্রচার তাঁদের অসম্মানিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনসিআইবি এমন মন্তব্যের নিন্দা করে জানিয়েছে, একতরফা ও প্রমাণহীন বক্তব্য শুধু সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো—ডিজিটাল যুগে ভুয়ো তথ্য কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তা কত বড় বিতর্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম। সত্য যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাই আবারও মনে করিয়ে দিল এই ঘটনা।