কলকাতা, আগস্ট ২০২৫ –
বুধবার দুপুর। ধর্মতলার রাজপথ তখন আন্দোলনের উত্তাপে টগবগ করছে। ওয়াকফ আইনের সংশোধনের বিরুদ্ধে আইএসএফ-এর ডাকা ধর্না সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। সকাল থেকেই সবকিছু যেন ছিল চিরাচরিত—মাইক, পতাকা, স্লোগানে মুখরিত ধর্না মঞ্চ। কিন্তু দুপুর গড়াতেই পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মাঝেই আচমকা এক পুলিশকর্মীর ঘুষির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন নওসাদ। মুহূর্তেই বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকেরা, ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকে মিছিল। রাস্তাজুড়ে বিক্ষোভ, ধাক্কাধাক্কি, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি—ধর্মতলা পরিণত হয় অগ্নিগর্ভ চত্বরে।

আহত বিধায়ককে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন হয় বাড়তি বাহিনী। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নওসাদ বলেন—
“গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে সরকার। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হল।”
যদিও পুলিশের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এদিকে ঘটনার পরই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। আইএসএফ নেতৃত্ব প্রশাসনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে।
রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে পুলিশের এই ভূমিকা ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—আন্দোলনের ভাষা কি দমন করা হচ্ছে বলপ্রয়োগে? নাকি প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলাতেই এমন পথে হাঁটতে বাধ্য?
ধর্মতলার বুকে বুধবারের উত্তপ্ত ঘটনাই এখন শহরের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।