ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি এক বক্তব্যে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সবসময়ই ভালো সম্পর্ক বজায় ছিল। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই বন্ধুত্ব ভারতের বৈদেশিক নীতি ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
মোদি-ট্রাম্প সম্পর্কের ইতিহাস
ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক গত কয়েক দশকে বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করেছে। তবে মোদি ও ট্রাম্পের সময়ে এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। ২০১৯ সালে হিউস্টনে অনুষ্ঠিত “Howdy Modi” ইভেন্টে উভয় নেতা একসঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্বের নতুন বার্তা দিয়েছিলেন।
এই সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছিল।

বৈদেশিক নীতিতে প্রভাব
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর উল্লেখ করেছেন যে এই বন্ধুত্ব শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, আতঙ্কবাদ বিরোধী উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি বিনিয়োগ-এ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
বিশেষত, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও বাণিজ্য চুক্তি এই সম্পর্কের মাধ্যমে আরও মজবুত হয়েছিল।

ভবিষ্যতের কূটনীতিতে বার্তা
যদিও বর্তমানে হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন প্রশাসন রয়েছে, তবুও মোদি-ট্রাম্প যুগের বন্ধুত্ব ভবিষ্যতের কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তন সত্ত্বেও এই ব্যক্তিগত সম্পর্ক দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতায় প্রভাব ফেলবে।
উপসংহার
মোদি ও ট্রাম্পের বন্ধুত্ব ভারতের কূটনৈতিক কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের মন্তব্য আবারও মনে করিয়ে দিল যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ব্যক্তিগত আস্থা ও বন্ধুত্ব বড় ভূমিকা রাখে।
👉 আপনার কী মত? নিচে কমেন্টে জানান এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন আন্তর্জাতিক খবরের আরও আপডেটের জন্য।