দুর্গাপূজা ঘনিয়ে আসতেই ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। কলকাতার বাজারে আসছে ৩০০ টনেরও বেশি দেশীয় ইলিশ, যা উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। বাংলার মানুষের কাছে দুর্গাপূজা যেমন আবেগের উৎসব, তেমনি ইলিশ মাছও এক অমূল্য খাদ্য ঐতিহ্য। ফলে এবারের উৎসবকে ঘিরে বাজারে জমে উঠবে ইলিশের রমরমা।
দুর্গাপূজার আগে ইলিশের ভিড় বাজারে
বাংলার মানুষের উৎসব মানেই পাতে ইলিশ। এ বছর বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নদ-নদী থেকে আহরিত ইলিশ আনা হচ্ছে কলকাতার বাজারে। মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দুর্গাপূজার আগে বাজারে পৌঁছাবে প্রায় ৩০০ টনেরও বেশি ইলিশ। এর ফলে দাম তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

ইলিশের দাম ও বাজারের প্রস্তুতি
দাম নিয়ে ভোক্তাদের চিন্তা সব সময়ই থাকে। তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর দাম সাধারণ মানুষের নাগালে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম কিছুটা কমলেও খুচরো বাজারে তা কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে ক্রেতারা জানাচ্ছেন, উৎসবের আবহে ইলিশ ছাড়া পূজোর আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের ইলিশ পাওয়া যাবে।

উৎসবে ইলিশের বিশেষ রেসিপি
শুধু কেনা নয়, দুর্গাপূজার সময় বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় নানা রকম ইলিশ পদ। ইলিশ ভাপা, দই ইলিশ, ইলিশ পোলাও কিংবা ইলিশের ঝোল – প্রতিটি পদেই রয়েছে বাঙালির আবেগ। রেস্তরাঁগুলোও দুর্গাপূজায় বিশেষ ইলিশ থালি আনতে চলেছে।
উপসংহার
দুর্গাপূজা মানেই শুধু পূজা নয়, আনন্দ, খাওয়া-দাওয়া আর মিলনমেলার উৎসব। এবছর ৩০০ টনেরও বেশি ইলিশ বাজারে আসায় বাঙালির উৎসবে ইলিশের রমরমা আরও বাড়বে। তাই এখনই প্রস্তুতি নিন – কোন দিন কোন পদ রান্না করবেন তা ঠিক করে ফেলুন।
👉 আপনাদের প্রিয় ইলিশ রেসিপি কী? মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না।