জম্মু-কাশ্মীরের কঠুয়া জেলায় আবারও মেঘভাঙা বৃষ্টি আঘাত হেনেছে। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বেশ কয়েকটি গ্রাম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে, আর অনেকে আহত হয়েছেন। রাজ্যের প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে তৎপর হয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টি: কঠুয়ার ভয়াবহ পরিস্থিতি
কঠুয়া জেলার বিভিন্ন অংশে আকস্মিক মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নদী-নালা ফুলেফেঁপে ওঠে এবং গ্রামাঞ্চলে জল ঢুকে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

উদ্ধারকাজে প্রশাসন ও এনডিআরএফের তৎপরতা
ঘটনার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং এনডিআরএফ (জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী) তৎপর হয়ে ওঠে। উদ্ধারকর্মীরা কাদামাটি ও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করছেন।
এছাড়া, বিপর্যস্ত গ্রামগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবুও, পাহাড়ি অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভবিষ্যৎ সতর্কবার্তা
জম্মু-কাশ্মীরের পাহাড়ি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি প্রায়শই বড়সড় ক্ষতির কারণ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনা আরও বেড়ে যেতে পারে।
সরকার ইতিমধ্যেই দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় আবহাওয়া সতর্কবার্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পরিকল্পনা করছে। স্থানীয় মানুষদেরও পাহাড়ি অঞ্চলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উপসংহার
কঠুয়ায় মেঘভাঙা বৃষ্টির এই ভয়াবহ ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি বহু পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের জন্য প্রতিটি বর্ষাকালই বিপদের আশঙ্কা বয়ে আনে।
👉 পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, আপনারাও এ বিষয়ে মতামত নিচে মন্তব্যে জানাতে পারেন এবং সংবাদটি শেয়ার করে অন্যদের সতর্ক করতে পারেন।