উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ধারালি অঞ্চলে সাম্প্রতিক ফ্ল্যাশ ফ্লাডের পর পরিস্থিতি পর্যালোচনায় নেমেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। স্যাটেলাইট চিত্র এবং রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংস্থাটি ক্ষয়ক্ষতির সঠিক মূল্যায়ন করছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পুনর্গঠন ও ত্রাণ পরিকল্পনায় সহায়তা করা হবে।
স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়ল ক্ষতির চিত্র
ISRO-র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (NRSC) স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি বিশ্লেষণ করে ধারালির আশেপাশের ভৌগোলিক পরিবর্তন, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং নদীর প্রবাহের পরিবর্তন নির্ধারণ করছে।
স্যাটেলাইট ডেটার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে স্থানীয় প্রশাসনকে সরিয়ে নেওয়া, ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো এবং রাস্তা মেরামতের অগ্রাধিকার ঠিক করতে সহায়তা করা হচ্ছে।

ফ্ল্যাশ ফ্লাডের কারণ ও প্রভাব
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ অতিবৃষ্টি ও হিমবাহ গলনের ফলে নদীর জলস্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, যা ধ্বংস ডেকে আনে। এই ফ্ল্যাশ ফ্লাডে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, সেতু ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ISRO-র স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে—বন্যার পর নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে এবং পলি জমে নতুন জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভবিষ্যতের জন্য পরিবেশ ও স্থানীয় জীবিকার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি
ISRO-র মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর পুনর্বাসন
- সড়ক ও সেতু মেরামত
- নদীর তীর সংরক্ষণ ব্যবস্থা
- ফ্ল্যাশ ফ্লাড পূর্বাভাস ব্যবস্থা উন্নতকরণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যাটেলাইট ভিত্তিক নজরদারি ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উপসংহার
ধারালি ফ্ল্যাশ ফ্লাড আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিল যে, হিমালয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ISRO-র সঠিক সময়ে নেওয়া পদক্ষেপ শুধু ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট করেনি, বরং ত্রাণ ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।
📢 আপনার মতামত জানান—আপনার মতে কি স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ভবিষ্যতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব আনতে পারবে? নিচে কমেন্ট করুন এবং এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন।