মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি ভারতে আমদানি করা আমেরিকান পণ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এর জেরে দেশজুড়ে মার্কিন ব্র্যান্ড বয়কটের ডাক উঠছে। জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস থেকে শুরু করে কোকা-কোলা—সবই বয়কটের আওতায় পড়ছে বলে দাবি করছেন অনেক ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ী সংগঠন।
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও তার প্রভাব
ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে ভারত থেকে আমদানিকৃত নির্দিষ্ট পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানো হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে এবং “আমেরিকান পণ্য বর্জন” হ্যাশট্যাগে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।
এই আন্দোলনের মূল দাবি—ভারতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে দেশীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং বিদেশি ব্র্যান্ডের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাজার পর্যন্ত বয়কটের ঢেউ
সোশ্যাল মিডিয়ায় #BoycottAmericanProducts, #NoMcDonalds এবং #NoCocaCola ট্রেন্ড করছে। অনেকেই বলছেন, স্থানীয় ব্র্যান্ড সমর্থন করলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশি কোম্পানির লাভ ভারতে থেকে যাবে না।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যদিও বয়কট আন্দোলন তাৎক্ষণিকভাবে বড় আর্থিক প্রভাব ফেলতে পারে না, তবে এটি মার্কিন ব্র্যান্ডের ইমেজ এবং বিক্রিতে চাপ তৈরি করতে সক্ষম।
দেশীয় ব্র্যান্ডের জন্য সুযোগ
এই পরিস্থিতি আমূল, পেপসি’র ভারতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ড, কেএফসি’র বিকল্প দেশীয় রেস্তোরাঁ—সবগুলোর জন্য নতুন বাজার দখলের সুযোগ তৈরি করেছে। অনেক ব্যবসায়ী বিশ্বাস করেন, যদি ভোক্তারা দীর্ঘমেয়াদে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, তবে ভারতীয় উৎপাদন শিল্প শক্তিশালী হবে।
Alt text: দেশীয় পণ্যের প্রচারের জন্য দোকানে রাখা ভারতীয় ব্র্যান্ডের বোতল ও খাবার
উপসংহার
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ইস্যু নয়—এটি এখন সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের আলোচ্য বিষয়। ভারতে আমেরিকান পণ্য বয়কট আন্দোলন শুধুমাত্র প্রতিবাদ নয়, বরং একটি অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার বার্তা বহন করছে।
📢 আপনার মতামত জানান—আপনি কি আমেরিকান ব্র্যান্ড বর্জন করবেন? নিচে কমেন্টে লিখুন এবং এই খবরটি শেয়ার করুন।