বলিউডে অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারহান আখতার বরাবরই নিজের অভিনয় দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ প্রকাশ্যে তার অভিনয়ের সমালোচনা করায় তিনি গভীরভাবে আঘাত পেয়েছিলেন। ফারহানের কথায়, এই ঘটনাই তাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে, “এই ব্যক্তি আমাকে সম্মান করেন না।”
কী ঘটেছিল? নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্য ও ফারহানের প্রতিক্রিয়া
এক সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন শাহ ফারহান আখতারের অভিনয় নিয়ে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করেছিলেন। বিষয়টি শুধু সমালোচনা নয়, বরং তার ভাষায় কিছুটা তির্যকতা ছিল। এ প্রসঙ্গে ফারহান জানান, তিনি বুঝতে পারেন যে, যখন কোনো ব্যক্তি আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন, তখন তিনি সমালোচনা প্রকাশ্যে নয় বরং ব্যক্তিগতভাবে জানান।
ফারহান বলেন,
“যদি সত্যিই আমাকে সাহায্য করতে চাইতেন, তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বলতেন। প্রকাশ্যে এভাবে বলা মানে তিনি আমাকে সম্মান করেন না।”

বলিউডে প্রজন্মগত দ্বন্দ্ব: অভিজ্ঞতা বনাম নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
বলিউডে এমন প্রজন্মগত দ্বন্দ্ব নতুন নয়। অভিজ্ঞ অভিনেতাদের মতে, নতুন প্রজন্মের তারকারা অনেক সময় ‘অভিনয়ের গভীরতা’ হারাচ্ছেন। অন্যদিকে, তরুণ শিল্পীরা মনে করেন, অভিনয় মানে শুধু সংলাপ বলা নয়, বরং চরিত্রকে বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করা।
ফারহান আখতারও এ প্রসঙ্গে জানান, সমালোচনা গ্রহণ করা তিনি জানেন, কিন্তু প্রকাশ্যে অপমান সহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি যোগ করেন যে, বলিউডে স্বাস্থ্যকর সমালোচনা প্রযোজ্য, তবে তা যেন অপমান না হয়ে ওঠে।

নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্যের তাৎপর্য
নাসিরুদ্দিন শাহ সবসময়ই সোজাসাপ্টা বক্তব্য রাখার জন্য পরিচিত। তার অভিমত, বলিউডে এখনো অনেক অভিনেতার প্রয়োজনীয় অভিনয় প্রশিক্ষণ নেই। তবে এই সৎ মন্তব্যই প্রায়শই বিতর্ক সৃষ্টি করে।
তবে ফারহানের বক্তব্য প্রমাণ করে, তিনি ব্যক্তিগত সম্মানকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “আমি বুঝেছি—এই ব্যক্তি আমাকে সম্মান করেন না। সেই মুহূর্ত থেকেই আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে।”
উপসংহার
ফারহান আখতার ও নাসিরুদ্দিন শাহের এই বিতর্ক বলিউডে সমালোচনা ও সম্মানবোধ নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিজ্ঞদের পরামর্শ প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে, তবে তা যেন অপমানের জায়গা থেকে না আসে।
👉 আপনার মতামত কী? সমালোচনা কি প্রকাশ্যে হওয়া উচিত, নাকি ব্যক্তিগতভাবে জানানো ভালো? নিচে কমেন্টে জানান।