বলিউডের সুপারস্টার ও প্রযোজক ফারহান আখতার তাঁর আসন্ন যুদ্ধনির্ভর চলচ্চিত্র ১২০ বাহাদুর (120 Bahadur)-এর মাধ্যমে তুলে ধরতে চলেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক অনন্য অধ্যায় – ১৯৬২ সালের ইন্দো-চীন যুদ্ধের রেজাং লা যুদ্ধ। এই সিনেমাটি শুধু ইতিহাস নয়, বরং অদম্য সাহস ও আত্মত্যাগের এক বাস্তব কাহিনী। সম্প্রতি, ফারহান আখতার, রিতেশ সিধওয়ানি ও পরিচালক রাজনীশ “রাজি” ঘোষাল দিল্লিতে সাক্ষাৎ করলেন রেজাং লার দুই জীবন্ত বীর সেনানী – সুবেদার অনারারি ক্যাপ্টেন রামচন্দর যাদব ও হাবিলদার নিহাল সিং-এর সঙ্গে।
রেজাং লা যুদ্ধ: ইতিহাসের এক অমর অধ্যায়
১৯৬২ সালের শীতলতম দিনে, লাদাখের রেজাং লা উপত্যকায় ১৩ কুমাওন রেজিমেন্টের মাত্র ১২০ জন ভারতীয় সেনা প্রবল চীনা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন। সংখ্যায় পিছিয়ে থেকেও তাঁরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত “হুম পেছহে নাহি হটেঙ্গে” (আমরা পিছিয়ে যাব না) এই অদম্য শপথে অবিচল থাকেন।
বাস্তব বীরদের সঙ্গে আবেগঘন সাক্ষাৎ
চলচ্চিত্রের দল যখন দিল্লিতে রামচন্দর যাদব ও নিহাল সিং-এর সঙ্গে মিলিত হলেন, তখন পরিবেশ ভরে উঠেছিল আবেগে। শুধু প্রযোজক-পরিচালকরাই নন, বরং অভিনেতা স্পর্শ ওয়ালিয়া ও অতুল সিং, যারা ছবিতে যথাক্রমে রামচন্দর যাদব ও নিহাল সিং-এর চরিত্রে অভিনয় করছেন, তাঁরাও এই ঐতিহাসিক সাক্ষাতে অংশ নেন।
এই মুহূর্তে বাস্তব ও রূপোলি পর্দার মিলন ঘটল—যা চলচ্চিত্রের আবেগ ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও গভীর করে তুলল।
‘১২০ বাহাদুর’ – এক অদম্য কাহিনীর সিনেমাটিক রূপ
এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট ও ট্রিগার হ্যাপি স্টুডিওস প্রযোজিত এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাজনীশ “রাজি” ঘোষাল। ফারহান আখতার ও রিতেশ সিধওয়ানির প্রযোজনায় নির্মিত এই চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে চলেছে ২১ নভেম্বর ২০২৫-এ।
চলচ্চিত্রের মূল বার্তা,
“হুম পেছহে নাহি হটেঙ্গে” – কেবল একটি সংলাপ নয়, বরং ভারতীয় সেনার অটল মনোবল ও দেশপ্রেমের প্রতীক।
উপসংহার
১২০ বাহাদুর কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়; এটি ভারতীয় সেনাদের অদম্য বীরত্বের এক চিরস্মরণীয় শ্রদ্ধাঞ্জলি। রেজাং লা যুদ্ধের সাহসী অধ্যায়কে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরবে এই সিনেমা।
👉 আপনি কি মনে করেন এই ধরনের ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে? নিচে মন্তব্য করুন ও এই সংবাদটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।