আপনারা অনেকেই জানেন, আমরা ভালো সংবাদ প্রচারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই এই খবর টা আপনাদের কাছে না এনে পারলাম না। সত্যি বলতে আজ লিখতে লিখতে নিজের অন্তরের কোথাও একটা গর্ব অনুভব হচ্ছে। আর বার বার বিখ্যাত গায়ক মান্না দে-র সেই গান টি মনে পড়ছে – সে আমার ছোট বোন, বড়ো আদরের ছোট বোন।
না না সম্পর্কে, অভিজ্ঞতা, পেশা এবং বিদ্যা বুদ্ধিতে সে আমার ছোট বোন নয় বরং দিদি। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শ্রীমতী মিতা ব্যানার্জী।


সাম্প্রতিক কালে প্রয়োজনে বহু আইনজীবীর সাথে আলাপচারিতা হয়েছে। সে অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো তা আপনারা না বললেও, সেই কঠিন বাস্তব আমি ঠিকই বুঝি। কিন্তু এখানে একেবারেই অন্য রকম। মায়া মমতা দিয়ে গড়া ঠিক যেন মা দূর্গা।

পেশাগত ভাবে আইনি লড়াই এর পাশাপাশি তাকে আমরা পেয়েছি বহুরূপে। কখনো তিনি লড়াই করেন পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য। উদ্যোগ নিয়েছেন শহরের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া পরিচয় ও দাবিহীন লাশের যেন সসম্মানে শেষ কৃত্য হয়। আবার একই সাথে পথের সারমেয় দের সুরক্ষা ও তাদের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষার লড়াই করা।
পিতা স্বর্গীয় অশোক ব্যানার্জীর, স্মৃতিতে তৈরী অশোক ব্যানার্জী ফাউন্ডেশন কে নিয়েই, আইনজীবী মিতা ব্যানার্জী আজ সমাজে দশভুজার দৃষ্টান্ত।


এবার তিনি পাশে দাঁড়ালেন, কাকদ্বীপের বামা নগর সুবলা হাই স্কুলের পাশে। এই স্কুলে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৫০০ যারা আজও প্রত্যেকে নিজেদের প্রস্তুত করছেন জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের জন্য। অতীতেও একাধিক ছাত্রছাত্রী ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেছেন। স্কুলের প্রয়োজন ছিলো একটি সাইন্স ল্যাব ও একটি লাইব্রেরি র। সেই প্রয়োজন মেটালো অশোক ব্যানার্জী ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের অন্যতম কর্ণধার আইনজীবী বরুন রায়, বামা নগর সুবলা হাই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটি জিম বা আধুনিক ব্যামাগার করে দেবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কে বলে আমাদের রাজ্যে ভালো ঘটনা ঘটে না?? ভালো খবর হয়না?? আসলে এসব ভালো খবর আপনাদের কাছে প্রথম সারির সংবাদ মধ্যেমরা এগিয়ে দেবে না। তারা ব্যবসা বোঝে আর আমরা বুঝি মনের আনন্দ আর তৃপ্তি।