ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান সম্প্রতি এক বক্তব্যে পাকিস্তানের বিজয় দাবিকে ব্যঙ্গ করে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “আপনি যদি একজন পাকিস্তানিকে জিজ্ঞাসা করেন, তারা সবসময় বলবে তারা জিতেছে।” একই সঙ্গে তিনি অপারেশন সিন্ধূর-এ সেনাদের দেওয়া ফ্রি হ্যান্ড বা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগেরও প্রশংসা করেন।
পাকিস্তানের ‘বিজয় দাবি’ নিয়ে সেনাপ্রধানের ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য
সেনাপ্রধানের বক্তব্য অনুযায়ী, পাকিস্তান সবসময় তাদের কল্পিত বিজয় প্রচার করে, কিন্তু বাস্তবে তারা প্রতিটি সংঘর্ষে কৌশলগত ও সামরিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্ধূর-এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনা দক্ষ পরিকল্পনা, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও চূড়ান্ত মনোবল দিয়ে শত্রুকে মোকাবিলা করেছে।
অপারেশন সিন্ধূরে সেনাদের ‘ফ্রি হ্যান্ড’ ও তার প্রভাব
সেনাপ্রধান বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, এই অভিযানে সেনাদের ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে কৌশলগত সিদ্ধান্ত দ্রুত ও কার্যকরভাবে নেওয়া সম্ভব হয়। এর ফলে অপারেশনের সাফল্যের হার বেড়ে যায় এবং কম সময়ে বড় লক্ষ্য অর্জিত হয়।

তিনি আরও জানান, আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন নজরদারি ও স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী একধাপ এগিয়ে থাকে।
ভবিষ্যতের জন্য বার্তা
সেনাপ্রধানের বক্তব্য শুধু বর্তমান অভিযানের প্রশংসাই নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের সামরিক কৌশলের দিকনির্দেশনা। তাঁর মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার-ই হবে মূল চালিকা শক্তি।
তিনি পাকিস্তানের প্রচারণাকে একপ্রকার ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন, যা বাস্তবের মাটিতে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। বরং ভারতীয় সেনাদের বাস্তব সাফল্যই প্রমাণ করে কারা প্রকৃত বিজয়ী।
উপসংহার
পাকিস্তানের বিজয় দাবি নিয়ে সেনাপ্রধানের কটাক্ষ এবং অপারেশন সিন্ধূরে ফ্রি হ্যান্ড দেওয়ার প্রশংসা থেকে বোঝা যায় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং আক্রমণাত্মক দক্ষতায়ও এগিয়ে রয়েছে। প্রযুক্তি, কৌশল এবং মনোবলের সমন্বয়ে ভারত যে কোনও পরিস্থিতিতে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম—এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
📢 আপনার মতামত জানান — আপনি কি মনে করেন, ভারতীয় সেনার এই কৌশল ভবিষ্যতের জন্যও কার্যকর হবে? মন্তব্যে আপনার মতামত শেয়ার করুন।