সিনেমা প্রায়শই সাহসী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন দিশা খুঁজে পায়। দক্ষিণী পরিচালক বালা, যিনি তাঁর কাঁচা ও বাস্তবধর্মী গল্প বলার জন্য পরিচিত, একসময় এমন এক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ-এর দৃষ্টিভঙ্গিকে পুরোপুরি পাল্টে দেয়। তিনি তামিল অভিনেতা ধনুশকে এক অপ্রচলিত চরিত্রে কাস্ট করেছিলেন—যা তখনকার মূলধারার প্রত্যাশার বাইরে ছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুরাগ কাশ্যপ জানান, এই কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত তাঁর কাছে সিনেমা জগতের “নায়ক” আর “তারকা”-র সংজ্ঞাকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়।
ধনুশকে নিয়ে বালার ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি
তখনকার দিনে ধনুশকে প্রচলিত “নায়ক” হিসেবে ভাবা কঠিন ছিল। তাঁর চেহারা ও ব্যক্তিত্ব মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমার সঙ্গে খাপ খেত না। কিন্তু পরিচালক বালা বিশ্বাস করেছিলেন, ধনুশের অভিনয়ক্ষমতা সাধারণ দর্শককেও মুগ্ধ করতে পারবে।
এই সাহসী পদক্ষেপ প্রমাণ করেছিল যে অভিনয়ের গভীরতা ও বাস্তবতা, কখনও কখনও তারকার চাকচিক্যের থেকেও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
অনুরাগ কাশ্যপের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন
Image Alt: অনুরাগ কাশ্যপ সাক্ষাৎকারে ধনুশকে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন
অনুরাগ কাশ্যপ বরাবরই “বক্স অফিস ফর্মুলা” ভেঙে বাস্তবধর্মী গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ধনুশকে বালার চলচ্চিত্রে দেখার পর তাঁর মনে আরও দৃঢ় হয় যে সত্যিকারের অভিনয় দক্ষতা দর্শকের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
কাশ্যপ বলেন—এই সিদ্ধান্ত তাঁকে শেখায় যে কাস্টিং শুধু নামী তারকাদের নিয়েই হয় না; বরং সঠিক চরিত্রের জন্য সঠিক অভিনেতা বেছে নেওয়াই আসল শিল্প।
নতুন সিনেমা “নিশানচি”-তে অনুরাগ কাশ্যপ
বর্তমানে অনুরাগ কাশ্যপ তাঁর আসন্ন সিনেমা “নিশানচি” নিয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমাটি প্রযোজনা করছে অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিওস ইন্ডিয়া, যেখানে প্রথমবার অভিনয়ে আসছেন ঐশ্বর্য ঠাকরে—ডাবল রোলে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বেদিকা পিন্টো, মনিকা পনওয়ার, মোহাম্মদ জিশান আয়ুব এবং কুমুদ মিশ্রা।
- মুক্তির তারিখ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
- প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান: জার পিকচার্স ও ফ্লিপ ফিল্মস
- ধরন: অ্যাকশন, কমেডি ও ড্রামা সমৃদ্ধ মাসালা এন্টারটেইনার
এই সিনেমার মাধ্যমে কাশ্যপ আবারও প্রমাণ করতে চান যে দর্শককে ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা দেওয়া তাঁর মূল লক্ষ্য।
উপসংহার
পরিচালক বালার সাহসী সিদ্ধান্ত শুধু ধনুশকে নয়, বরং গোটা ভারতীয় চলচ্চিত্রশিল্পকে নতুন এক দিশা দেখিয়েছে। আর অনুরাগ কাশ্যপ সেই শিক্ষা গ্রহণ করে তাঁর নিজস্ব কাজেও ভিন্নতা আনতে সক্ষম হয়েছেন।
আপনি কি মনে করেন কাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে তারকার নাম নয়, বরং অভিনয়ই সবচেয়ে বড় মাপকাঠি হওয়া উচিত? আপনার মতামত মন্তব্যে জানান।