আন্তর্জাতিক কূটনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যুক্ত হলো আলাস্কা সম্মেলনে ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক। এই আলোচনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে চোখ ছিল দুই পরাশক্তির নেতার দিকে। তবে বৈঠকের মধ্যেই পুতিনের কিছু পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ তোলে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল আলোচনা।
পুতিনের প্রোটোকল ভাঙার ঘটনা
আলাস্কায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে একাধিক বিষয় আলোচনার তালিকায় ছিল — ভূ-রাজনীতি, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য। কিন্তু বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর কেড়ে নেয় পুতিনের আচরণ। তিনি বৈঠকের সূচনাতেই নির্ধারিত আসন বিন্যাস না মেনে বসেন, এবং কয়েকটি মুহূর্তে ট্রাম্পের বক্তব্য বাধা দিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন।
কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভাঙার এই ঘটনাকে অনেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে একটি ইঙ্গিতবাহী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল পুতিনের কৌশলগত বার্তা— রাশিয়া বিশ্ব কূটনীতিতে নিজের কর্তৃত্ব হারায়নি।

ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ও বৈঠকের ফলাফল
পুতিনের অপ্রত্যাশিত আচরণে ট্রাম্প দৃশ্যত বিরক্ত হলেও তিনি সভা থেকে সরে যাননি। বরং তিনি বৈঠকের নিয়ম বজায় রেখে আলোচনার বিষয়বস্তুতে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্পের এই অবস্থান তাঁর কূটনৈতিক ধৈর্য প্রকাশ করে।
বৈঠকের আনুষ্ঠানিক ফলাফলে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি কিছু সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে প্রোটোকল ভাঙার এই ঘটনাই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বৈঠকের পর মার্কিন সেনেট সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন যে, পুতিনের এই পদক্ষেপ ছিল পরিকল্পিত। একাধিক বিশেষজ্ঞের মতে, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ দেওয়ার কৌশল নিয়েছিল।
অন্যদিকে, কিছু কূটনৈতিক মহল মনে করছে এটি ছিল একটি কৌশলগত বার্তা— “রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা সহজ নয়।” এর ফলে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হতে পারে।
উপসংহার: বৈঠক নাকি কূটনৈতিক খেলা?
আলাস্কা সম্মেলন প্রমাণ করল যে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি শুধু আলোচনার টেবিলেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আচরণের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে রাজনৈতিক বার্তা। পুতিনের প্রোটোকল ভাঙা সেই বার্তারই বহিঃপ্রকাশ।
বিশ্বজুড়ে এখন প্রশ্ন— এই বৈঠক কি মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কের নতুন সূচনা, নাকি আরও সংঘাতের ইঙ্গিত?
📢 আপনার মতামত জানান! নিচে মন্তব্যে লিখুন, পুতিনের এই আচরণ কি কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা, নাকি কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভাঙা?