মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন অতিরিক্ত শুল্ক (Additional Tariff) আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর ভারতের প্রধান টেক্সটাইল কেন্দ্র তিরুপুর, নয়ডা ও সুরাট-এ উৎপাদন কার্যক্রম কার্যত থেমে গেছে। রপ্তানিকারকরা জানাচ্ছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা দুর্বল হবে এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণা ও ভারতের টেক্সটাইল শিল্পের ওপর প্রভাব
ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্প দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম বড় রপ্তানি বাজার ধরে রেখেছে। কিন্তু অতিরিক্ত শুল্কের কারণে ভারতীয় কাপড় ও পোশাকের দাম বেড়ে যাবে, ফলে ইউরোপ ও এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীরা সেই বাজার দখল করতে পারে।

তিরুপুর, নয়ডা ও সুরাটে উৎপাদন স্থগিত
তিরুপুর দীর্ঘদিন ধরে দেশের নিটওয়্যার হাব হিসেবে পরিচিত, নয়ডা মূলত গার্মেন্টস উৎপাদনে শীর্ষে, আর সুরাট সিল্ক ও সিনথেটিক ফেব্রিকের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। এই তিনটি শহরের শিল্প মালিকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি অনিশ্চিত হওয়ায় নতুন অর্ডার বন্ধ হয়েছে।
রপ্তানিকারকদের মতে—
- হঠাৎ শুল্ক আরোপের ফলে রপ্তানি খরচ ২০–২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।
- ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান (SMEs) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
- প্রায় ৫ লক্ষ শ্রমিকের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সামনে ভারত
টেক্সটাইল শিল্প বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এই পরিস্থিতি থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে। কারণ তাদের উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং মার্কিন বাজারে প্রবেশে তারা নতুন সুযোগ পাবে।
ভারতের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তবে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বড় ধাক্কা লাগবে।
উপসংহার
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতের অন্যতম বড় শিল্পক্ষেত্র টেক্সটাইল বড় ধাক্কা খেল। সরকারের উচিত দ্রুত কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সমাধান খোঁজা, যাতে কোটি কোটি শ্রমিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত না হয়।
👉 আপনার মতামত জানান: আপনি কি মনে করেন ভারত সরকারকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত? মন্তব্যে আপনার মতামত শেয়ার করুন।