প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিশ্ব কূটনীতির আলোচনায় শিরোনামে উঠে এসেছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প আগামী ২২ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি–এর সঙ্গে এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করার উদ্যোগ নিয়েছেন। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এবং শান্তি আলোচনার নতুন পথ খুঁজতে এই বৈঠককে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কেন এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ?
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ একদিকে ইউক্রেনকে সমর্থন দিচ্ছে, অন্যদিকে রাশিয়া তাদের অবস্থান শক্ত রাখছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প ভবিষ্যতে মার্কিন নির্বাচনে নিজের কূটনৈতিক প্রভাব বাড়াতে চাইছেন। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক চাপ এবং জ্বালানি সংকট বাড়ছে, যা শান্তি আলোচনার প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্র করেছে।

পুতিন ও জেলেনস্কির অবস্থান
যদিও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ আসেনি, বিশ্লেষকদের ধারণা পুতিন ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে।
- পুতিনের দৃষ্টিভঙ্গি: রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের চাপ সত্ত্বেও তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশ নিলে তারা কূটনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।
- জেলেনস্কির দৃষ্টিভঙ্গি: ইউক্রেন সবসময়ই রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় সতর্ক থেকেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া তারা শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দিহান।
এই অবস্থানগুলি স্পষ্ট করে যে, বৈঠক সফল হবে কিনা তা অনেকটাই নির্ভর করছে আলোচনার এজেন্ডা ও মধ্যস্থতার ধরণ–এর উপর।

বৈশ্বিক প্রভাব ও মার্কিন রাজনীতি
এই বৈঠকের রাজনৈতিক তাৎপর্য শুধু রাশিয়া-ইউক্রেন সীমাবদ্ধ নয়। মার্কিন রাজনীতিতেও এর বড় প্রভাব থাকতে পারে। ২০২4 সালের নির্বাচনে ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের শক্তিশালী প্রার্থী। যুদ্ধ থামানোর মতো বড় উদ্যোগ নিলে তা তাকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।
এছাড়া, বৈঠক সফল হলে তা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠবে। আর ব্যর্থ হলে, তা ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
উপসংহার
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২২ আগস্টের প্রস্তাবিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য একটি বড় পরীক্ষা। বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে—পুতিন ও জেলেনস্কি এই আলোচনায় অংশ নেবেন কিনা এবং তাতে কী ফলাফল আসবে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন এবং চাপের মুখে থাকা বিশ্ব অর্থনীতি শান্তির পথ খুঁজছে। ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা সেই পথে এক নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।
📢 আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! নিচে কমেন্টে লিখুন, আপনি কি মনে করেন—এই বৈঠক সত্যিই যুদ্ধ থামাতে পারবে?