সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিতর্কে। এবার তিনি ভারতকে নিশানা করলেন রাশিয়ান তেল কেনা নিয়ে। সম্প্রতি এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, কেন তিনি শুধুমাত্র ভারতকে এই বিষয়ে singled out করছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য স্পষ্ট—যদি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা হয়, তবে ‘secondary sanctions’ বা দ্বিতীয় স্তরের অর্থনৈতিক শাস্তি ভারতের ওপর চাপানো হতে পারে।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ভারতের ওপর ৫০% ট্যারিফ আরোপ হতে পারে
ট্রাম্প তাঁর স্টাইলে এক বক্তব্যে বলেন,
“They shouldn’t be buying oil from Russia. If they do, there will be consequences – maybe 50% tariffs or worse.”
এই বক্তব্য মার্কিন বাণিজ্যনীতিতে ভারতের জন্য একটা সম্ভাব্য কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে যদি তিনি ভবিষ্যতে আবার প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তাঁর প্রশাসন ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ট্যারিফ বসাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমন একটি পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উলটে দিতে পারে এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।

সেকেন্ডারি স্যাংশন কী? কেন তা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
Secondary sanctions হচ্ছে এমন একধরনের শাস্তি যেখানে তৃতীয় পক্ষ—যেমন ভারত—কোনোভাবে নিষিদ্ধ সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্য করলে, তাকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা যায়।
এই ধরনের শাস্তি আগে ইরান ও চীন সম্পর্কেও প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এবং ভারত যদি সেই পথে এগোয়, তবে অর্থনৈতিকভাবে বড় ধাক্কা খেতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত যদি ট্রাম্পের শাসনামলে আবার রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যায়, তাহলে সেটি কেবল আমদানি খাতে নয়, তথ্যপ্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বেও প্রভাব ফেলতে পারে।
#WATCH | On being asked, 'Indian officials have said that there are other countries that are buying Russian oil, like China, for instance. Why are you singling India out for these additional sanctions', US President Donald Trump says, "It's only been 8 hours. So let's see what… pic.twitter.com/YRNbR06ne8
— ANI (@ANI) August 6, 2025
কেন ভারত রাশিয়ান তেল কিনছে?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর, রাশিয়ান তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক কমে যায়। ভারত সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে ছাড়ে তেল আমদানি করে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সাশ্রয়কে শক্ত করেছে।
তবে এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে ভারত রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে।
সাম্প্রতিক G20 বৈঠকেও এই ইস্যু একাধিকবার উঠে এসেছে, যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—
“We buy oil based on our energy needs, not political narratives.”
উপসংহার: ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জ ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে ভবিষ্যতে তাঁর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ আনতে পারে। ভারতকে এখন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা আন্তর্জাতিক চাপ ও নিজস্ব স্বার্থের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে।