সম্প্রতি মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবিটি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ছবিটির বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু বাঙালি বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মী এবং সাধারণ দর্শক। সমালোচকদের অভিযোগ, এই ছবি ইতিহাসকে নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরার বদলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক এজেন্ডাকে উসকে দিতে চায়। কেউ কেউ একে বলছেন “তথ্য নয়, বিভাজনের প্রচার”।
‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’: তথ্য নাকি প্রোপাগান্ডা?
ছবিটির কেন্দ্রীয় দাবি, এটি নাকি বাংলার অজানা ইতিহাসের দলিল। কিন্তু সমালোচকদের মতে, এর কাহিনি এবং প্রেক্ষাপট আসলে জনমনে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তৈরি। বাঙালি হিসেবে অনেকে মনে করছেন, সিনেমা যদি সত্যিই ঐতিহাসিক ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে, তবে তা নিরপেক্ষ ও গবেষণাধর্মী হওয়া উচিত, রাজনীতির হাতিয়ার নয়।

অন্যদিকে, কিছু রাজনৈতিক মহল বলছে, এই ছবিটি বাঙালির আবেগকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ইতিহাসের বিকৃতি ও অতিরঞ্জন স্পষ্ট। এমনকি জাতীয় সংবাদমাধ্যম
বাঙালি সমাজের প্রতিক্রিয়া
“আমি বাঙালি, তাই এই ছবি দেখব না”— এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক মাধ্যমে। অনেকের মতে, বাংলার সংস্কৃতি বহুত্ববাদী এবং সহনশীল, তাই বিভাজনের রাজনীতি ছড়ানো ছবিকে সমর্থন করা উচিত নয়।
সমাজবিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এই ছবিটি মুক্তি পেলে রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতি নিয়ে আরও বেশি বিতর্ক তৈরি হবে। বাঙালি দর্শকরা বরাবরই সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি সংবেদনশীল, ফলে এ ধরনের প্রচারচিত্র তাঁদের সংস্কৃতিকে আঘাত করছে বলেও অভিযোগ উঠছে।

ইতিহাসের পাঠ বনাম রাজনৈতিক বার্তা
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি সত্যিই বাংলার ইতিহাসের অজানা অধ্যায় সামনে আনা হয়, তবে তা একাডেমিক গবেষণার মাধ্যমে হওয়া উচিত। সিনেমার মতো জনপ্রিয় মাধ্যম ব্যবহার করে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো একেবারেই অনুচিত।
একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মন্তব্য করেছেন—
“বাংলার ইতিহাস মানে কেবল রক্তপাত নয়, এর ভেতরে আছে সাহিত্য, শিল্প, আন্দোলন ও মানবিকতার এক অমূল্য ভান্ডার। এই চলচ্চিত্রে সেই ভারসাম্য নেই।”
উপসংহার
‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে বিতর্ক এখনও শেষ হয়নি। ছবিটি মুক্তির আগেই বাঙালির মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে— ইতিহাসকে বিকৃত করে রাজনৈতিক বার্তা ছড়ানো কি শিল্পের পরিচয় হতে পারে?
👉 পাঠক হিসেবে আপনার মত কী? এই ছবি কি আপনি দেখবেন, নাকি এড়িয়ে যাবেন? নিচে মন্তব্য করুন এবং আলোচনায় যোগ দিন।