ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি বিতর্কিত নির্দেশ দিয়েছে—দেশজুড়ে সব রাস্তার কুকুর অপসারণ করতে হবে। এই রায় ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও মতবিরোধ। কেউ কেউ একে জনসুরক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপ বলে সমর্থন করছেন, আবার অনেকেই একে প্রাণী অধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে নিন্দা করছেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ: মূল প্রেক্ষাপট
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভাগুলিকে দেশের সব প্রান্ত থেকে অসহায় ও মালিকবিহীন কুকুর অপসারণ করতে হবে। আদালত জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুকুরের কামড় ও আক্রমণের ঘটনা বেড়েছে, যা জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
পক্ষসমর্থকরা বলছেন—
- এটি শহরের স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা বাড়াবে।
- কুকুরের কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা ও রোগের ঝুঁকি কমাবে।
প্রাণী অধিকার কর্মীদের আপত্তি
প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলির দাবি, এই পদক্ষেপ প্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৬০-এর পরিপন্থী এবং নৈতিকভাবে ভুল। তাঁদের মতে—
- রাস্তার কুকুরও জীবনের অধিকার রাখে।
- নির্বিচারে অপসারণ বা হত্যা নয়, বরং স্টেরিলাইজেশন ও টিকাদান প্রক্রিয়া বাড়ানো উচিত।
- এটি মানুষের ও প্রাণীর সহাবস্থানের নীতি ভেঙে দেবে।

অনলাইনে জনমত: বিভক্ত প্রতিক্রিয়া
টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে এই রায় নিয়ে হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। কেউ কেউ শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে সমর্থন জানাচ্ছেন, আবার কেউ প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতির কথা বলে প্রতিবাদ করছেন।
জনপ্রিয় মন্তব্যগুলির মধ্যে রয়েছে—
- “মানুষের জীবন রক্ষা প্রথম অগ্রাধিকার।”
- “প্রাণী হত্যা নয়, মানবিক সমাধান চাই।”
সামনে কী হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় কার্যকর করতে গেলে বড় ধরনের পৌর প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং আশ্রয়স্থল বৃদ্ধি দরকার হবে। একইসঙ্গে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা জরুরি, যাতে প্রাণীদের অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না হয়।
উপসংহার: সমাধান নাকি নতুন বিতর্ক?
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত নিরাপত্তার জন্য একদিকে প্রয়োজনীয় মনে হলেও, অন্যদিকে এটি মানবিকতা ও প্রাণী অধিকারের মধ্যে ভারসাম্যের প্রশ্ন তুলেছে। সামনে দেখা যাবে, প্রশাসন কীভাবে এই নির্দেশ কার্যকর করে এবং সমাজ কীভাবে তা গ্রহণ করে।
📢 আপনার মতামত দিন: আপনি কি মনে করেন রাস্তার কুকুর অপসারণ জরুরি, নাকি মানবিক বিকল্প খোঁজা উচিত? কমেন্টে জানান এবং এই খবরটি শেয়ার করুন।