সুরের শহর কলকাতা গত সন্ধ্যায় এক অনন্য সঙ্গীতময় মুহূর্তের সাক্ষী হলো। বিশ্ব বাংলা এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো ভারতের প্রিয় সংগীতশিল্পী শান-এর অসাধারণ সংগীতযাত্রার ২৫ বছরের উদযাপন — “দ্য ইনফিনিটি ট্যুর”-এর মাধ্যমে।
🎶 আলো, আবেগ ও সুরে ভরা এই রাত যেন ফিরে গেল সেই সময়গুলিতে, যখন “চাঁদ সিফারিশ” বা “তনহা দিল”-এর সুরে প্রেমে পড়েছিল পুরো প্রজন্ম।
🎶 শানের সুরের যাত্রা – আবেগ, স্মৃতি ও নস্টালজিয়ার মেলবন্ধন
“তনহা দিল”, “চাঁদ সিফারিশ”, “মুসুমুসু হাসি” থেকে “জব সে তেরে নয়না”— একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে দর্শকদের স্মৃতির ভান্ডার খুলে দিলেন শান। তাঁর কণ্ঠে যেন জীবন্ত হয়ে উঠল বলিউডের স্বর্ণযুগ।
দর্শকরাও গলা মেলালেন সেই চিরচেনা সুরে, যা কখনও প্রেমের, কখনও বিচ্ছেদের, আবার কখনও জীবনের উদযাপনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
🎵 শান মঞ্চে বলেন:
“সঙ্গীত শুধু বিনোদন নয়, এটা ভালোবাসার এক ভাষা।”

🌟 ইভেন্টের আয়োজন ও প্রযুক্তির জাদু
এই মহা কনসার্টের আয়োজক ছিল Bengal Web Solution, সহযোগিতায় ছিল Purple Event।
বিশ্ব বাংলা এক্সিবিশন সেন্টারের আধুনিক স্টেজ ডিজাইন, উচ্চমানের সাউন্ড সিস্টেম ও আলোয় সজ্জিত এই অনুষ্ঠান ছিল আন্তর্জাতিক মানের। প্রতিটি গানের সঙ্গে দর্শকের তালি, মোবাইলের আলো, এবং শানের কণ্ঠ যেন তৈরি করেছিল এক সঙ্গীতময় সমুদ্র।
🎧 প্রযুক্তিগত দিক:
- 3D সাউন্ড ডিজাইন ও লাইট সিঙ্ক্রোনাইজেশন
- হাই-রেজোলিউশন LED প্রজেকশন
- প্রিমিয়াম মঞ্চ সাজসজ্জা

💫 সুরে সুরে উদযাপন – এক নিখুঁত সঙ্গীত উৎসব
সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি চলা এই অনুষ্ঠানে প্রতিটি মুহূর্ত ছিল আবেগে ভরা।
কলকাতার সঙ্গীতপ্রেমীরা জানালেন— “এমন লাইভ পারফরম্যান্স বহুদিন পর দেখলাম। শান মানে হৃদয়ের সুর।”
শান নিজেও জানালেন, কলকাতার মঞ্চে পারফর্ম করা তাঁর কাছে সর্বদাই বিশেষ, কারণ এখানেই তাঁর শিল্পীর জীবনের শিকড়।

🎤 উপসংহার: সঙ্গীতের অনন্ত যাত্রা
“দ্য ইনফিনিটি ট্যুর” শুধু একটি কনসার্ট নয়, বরং এটি ছিল এক আবেগময় যাত্রা — যেখানে শান ও তাঁর শ্রোতারা একসঙ্গে উদযাপন করলেন সঙ্গীতের শক্তিকে।
এই রাত প্রমাণ করল, সময়ের স্রোত বয়ে গেলেও, সুরের জাদু কখনও মলিন হয় না।






