বিশ্ব অর্থনৈতিক বাজারে ধসের প্রবণতা থাকলেও ভারতীয় শেয়ারবাজার ৪ আগস্ট খুলতেই কিছুটা লাভ করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। সেনসেক্স ও নিফটি উভয়েই আন্তর্জাতিক প্রভাবকে উপেক্ষা করে ইতিবাচকভাবে খোলার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। মূল সূচকগুলির গতি, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব এবং সেক্টরভিত্তিক অগ্রগতি আগামী ট্রেডিং সেশনে বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
সেনসেক্স ও নিফটির সম্ভাব্য গতি: বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান স্তরগুলি
বিশ্ববাজারে উদ্বেগ থাকলেও ভারতীয় বাজারে কিছু নির্দিষ্ট উপাদান ইতিবাচক প্রবাহ আনতে পারে। সেনসেক্স বর্তমানে ৭৩,५०০–৭৪,০০০ স্তরে শক্তিশালী সাপোর্ট পাচ্ছে। অন্যদিকে, নিফটি ২২,৪০০–২২,৬০০ স্তরের মধ্যে ট্রেড করতে পারে বলে পূর্বাভাস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকিং ও আইটি সেক্টর সাময়িকভাবে চাপের মধ্যে থাকলেও, অটো, এফএমসিজি ও মেটাল সেক্টর সামগ্রিক বাজারকে ব্যাকআপ দেবে।

কেন ভারতীয় বাজার বিশ্বমন্দার ধাক্কা সামলাতে পারে?
বেশ কিছু দেশীয় উপাদান ভারতীয় শেয়ার বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করছে:
- FII (Foreign Institutional Investors) ধারাবাহিকভাবে ভারতের ইক্যুইটি মার্কেটে প্রবেশ করছে।
- GST সংগ্রহ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত সদ্য প্রকাশিত তথ্যগুলি আশাব্যঞ্জক।
- ভারতের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার পরিবর্তন না করার পক্ষে রয়েছে।
এই সমস্ত ফ্যাক্টর মিলিয়ে ভারতীয় বাজারের উপর চাপ তুলনামূলকভাবে কম।
কোন সেক্টরগুলিতে থাকবে নজর?
৪ আগস্টের ট্রেডিং সেশনে বিনিয়োগকারীদের উচিত নিচের সেক্টরগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া:
- অটো সেক্টর: ফেস্টিভ সিজন উপলক্ষে ডিমান্ড বাড়তে পারে।
- মেটাল ও রিয়েল এস্টেট: সরকারের পরিকাঠামোগত ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এই সেক্টরে গতি আসতে পারে।
- এফএমসিজি সেক্টর: গ্রামীণ বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ায় এই সেক্টর লাভের মুখ দেখতে পারে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ
- বাজারে প্রবেশের আগে স্টপ-লস ব্যবহার করুন।
- দিন শুরু হতেই ট্রেন্ড স্পষ্ট না হলে নয়টার পর পর্যবেক্ষণ করুন।
- বেশি রিস্ক না নিয়ে ডাইভারসিফায়েড পোর্টফোলিও গঠন করুন।
- বিশ্ববাজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নন-ফার্ম পে-রোল ও ইউরোপীয় ব্যাঙ্ক নীতির খবর নিয়মিত ফলো করুন।
উপসংহার: সতর্কতা বজায় রেখে এগোলে লাভের সম্ভাবনা
৪ আগস্টে সেনসেক্স ও নিফটি হয়তো আন্তর্জাতিক ধসকে উপেক্ষা করে উর্ধ্বগতি দেখতে পারে। তবে, গ্লোবাল ইকোনমিক ট্রেন্ড, কর্পোরেট আর্নিংস ও মুদ্রানীতির আপডেটগুলির উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিনিয়োগকারীদের উচিত হিসেব করে, তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
📢 আপনার মতামত জানান: আপনি কি মনে করেন ভারতীয় শেয়ার বাজার বিশ্বধস সামাল দিতে পারবে? নিচে কমেন্ট করুন বা আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই তথ্য শেয়ার করুন।