প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। সোমবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন কম্বাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্স ২০২৫, যেখানে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বোচ্চ স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। এই সম্মেলনকে ঘিরে প্রতিরক্ষা মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে উৎসাহ ও কৌতূহল তুঙ্গে।

কম্বাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্স: প্রতিরক্ষা কৌশলের নতুন অধ্যায়
কম্বাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্স ভারতীয় সেনা, নৌ ও বায়ুসেনার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি বিশেষ বৈঠক। এতে প্রতিরক্ষা নীতি, আধুনিক যুদ্ধকৌশল, সীমান্ত সুরক্ষা ও প্রযুক্তি-নির্ভর কৌশল নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও সুসংহত হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত পূর্ব ভারতের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে কলকাতায় এই সম্মেলনের আয়োজনকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কলকাতার ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব
পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে কলকাতার কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। ভৌগোলিকভাবে এটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে মূল ভারতের সংযোগকারী কেন্দ্র। তাই প্রতিরক্ষা দৃষ্টিকোণ থেকে কলকাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই কারণেই মোদির সফর শুধু প্রশাসনিক নয়, কৌশলগত দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ।
তাছাড়া বাংলাদেশ, মায়ানমার ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংযোগ থাকায়, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা নীতিতে আরও সমন্বয় আনার ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।

মোদির সফরে রাজনৈতিক তাৎপর্য
প্রতিরক্ষা বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরে রাজনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন নির্বাচনের আগে এই সফরকে ঘিরে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব বিশেষভাবে সক্রিয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোদির এই সফর শুধু প্রতিরক্ষা বিষয়ক আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং রাজ্য রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
প্রতিরক্ষা নীতিতে নতুন দিশা
এই সম্মেলনে আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিশেষ আলোচনা হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের ভূমিকাও বিশেষভাবে গুরুত্ব পেতে পারে।
এছাড়াও Make in India ও আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা প্রকল্প নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

উপসংহার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর কলকাতা ও গোটা পূর্ব ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কম্বাইন্ড কমান্ডার্স কনফারেন্স কেবল প্রতিরক্ষা কৌশলের নতুন দিকনির্দেশ দেবে না, বরং ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থান আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করবে।
👉 আপনার কী মনে হয়? মোদির এই সফর কি প্রতিরক্ষা কৌশলে গেমচেঞ্জার প্রমাণ হবে? নিচে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।