আজ জাতীয় রেডিও দিবস। একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল যুগে টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া আর ইউটিউব যতই প্রভাব বিস্তার করুক না কেন, রেডিওর আবেদন আজও অটুট। বিশেষ করে কলকাতার তরুণ-তরুণীদের কাছে রেডিও জকি (RJ) হওয়া এক স্বপ্নের পেশা। কথার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছনোর সুযোগ, নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তোলা, আর সৃজনশীলতা প্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবে রেডিওর ভূমিকা এখনও তুলনাহীন।
রেডিও জকি: শুধু বিনোদন নয়, এক সৃজনশীল কেরিয়ার
রেডিও জকি বা আরজে হওয়া মানেই শুধু গান শোনানো নয়। এটি হলো একটি পূর্ণাঙ্গ বিনোদনমূলক কেরিয়ার, যেখানে কথোপকথনের দক্ষতা, শব্দের জাদু আর শ্রোতার সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কলকাতার অনেক নামকরা আরজে যেমন মির, অনিন্দ্য, অর্চনা—তাঁদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, রেডিওর প্রভাব এখনও সমান কার্যকর। অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে শুরু করে এফএম চ্যানেলগুলো প্রতিনিয়ত নতুন কণ্ঠ খুঁজছে, যারা শহরের ছন্দকে রেডিও তরঙ্গে পৌঁছে দিতে পারবে।

কেন তরুণদের কাছে আরজে হওয়া স্বপ্নের পেশা?
১. পরিচিতির সুযোগ – সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাব থাকলেও, রেডিও এখনও বহু মানুষের নিত্যসঙ্গী। কণ্ঠের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় সহজে।
২. সৃজনশীলতার ক্ষেত্র – কথোপকথন, হাস্যরস, গল্প বলা—সবকিছুর মিশ্রণ আরজের কাজকে করে তোলে আকর্ষণীয়।
৩. বহুমুখী কেরিয়ার অপশন – রেডিওর পাশাপাশি ইভেন্ট হোস্টিং, ভয়েস ওভার, বিজ্ঞাপনে কাজের সুযোগ তৈরি হয়।
৪. আর্থিক সম্ভাবনা – অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি স্থায়ী ও লাভজনক কেরিয়ার গড়া সম্ভব।
জাতীয় রেডিও দিবসে নতুন প্রজন্মের আশা
প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় জাতীয় রেডিও দিবস। এই দিনে কলকাতার বহু শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণী নিজের স্বপ্নকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে—কখনও একটি ছোট্ট স্টুডিও থেকে শুরু করে, কখনও এফএম চ্যানেলে নিজের নাম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছায়।
তরুণদের কাছে রেডিওর আকর্ষণ এখনও অটুট, কারণ এটি শুধু চাকরি নয়—এটি হলো অভিব্যক্তির এক স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম।
Alt text: কলকাতায় রেডিও জকি ট্রেনিংয়ে অংশ নিচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা
উপসংহার
জাতীয় রেডিও দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রযুক্তি যতই পরিবর্তন হোক না কেন, কণ্ঠের শক্তি ও রেডিওর আবেদন কখনও ম্লান হয় না। কলকাতার তরুণ-তরুণীদের জন্য রেডিও শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এক স্বপ্নের কেরিয়ার গড়ার প্ল্যাটফর্ম।
👉 আপনিও কি আরজে হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? নিচে কমেন্টে আপনার মতামত লিখুন এবং এই প্রতিবেদনটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।