সম্প্রতি মার্কিন বিদেশসচিব ভারতের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন— “দিল্লি কেন মার্কিন ভুট্টা কিনবে না?”। এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কূটনৈতিক টানাপোড়েন ও বাণিজ্যিক চাপ নতুন মাত্রা পেয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে— ভারত কি আমেরিকার চাপ মেনে নেবে, নাকি নিজের কৃষি-স্বার্থ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেবে?
মার্কিন হুঁশিয়ারি: ভুট্টা নিয়ে দ্বন্দ্ব

মার্কিন বিদেশসচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট— আমেরিকা চায় ভারত সরাসরি মার্কিন ভুট্টা আমদানি করুক। কিন্তু দিল্লি এ নিয়ে অনীহা দেখাচ্ছে। ভারতের কৃষি নীতি দীর্ঘদিন ধরেই আত্মনির্ভরশীলতার উপর নির্ভরশীল। দেশীয় কৃষকদের স্বার্থে আমদানির সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন হুঁশিয়ারি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতে এই দ্বন্দ্ব শুধু বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতের অবস্থান: কৃষি ও জাতীয় স্বার্থ আগে

ভারতের বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মার্কিন চাপ যদি বাড়তেই থাকে, তবে দিল্লিকে আরও কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব
এই দ্বন্দ্ব শুধু কৃষি বা বাণিজ্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ। ভারত বর্তমানে বিশ্ব দক্ষিণের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা জোর দিচ্ছে। অন্যদিকে, আমেরিকা তার কৃষিজ পণ্যকে বৈশ্বিক বাজারে চাপিয়ে দিতে চাইছে।
এই দ্বন্দ্ব বাড়লে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-তে ভারত-মার্কিন সংঘাত নতুন করে সামনে আসতে পারে।
উপসংহার
মার্কিন বিদেশসচিবের হুঁশিয়ারি প্রমাণ করে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এখন সূক্ষ্ম ভারসাম্যের উপর দাঁড়িয়ে। দিল্লির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো— দেশীয় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা।
👉 পাঠকদের জন্য প্রশ্ন: আপনার মতে ভারত কি মার্কিন চাপ মেনে নেবে, নাকি নিজের কৃষি-স্বার্থ রক্ষায় কঠোর অবস্থান বজায় রাখবে? মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।