ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তাঁর ভাষণে উঠে আসে দেশের জনসংখ্যার পরিবর্তন, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
দেশের জনসংখ্যার গঠন পরিবর্তন: প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দাবি করেন যে, দেশের জনসংখ্যার গঠনকে “ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন” করার চেষ্টা চলছে, যা ভবিষ্যতে দেশের সামাজিক ভারসাম্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন—
“ভারতের বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি, কিন্তু যদি এটি পরিকল্পিতভাবে বদলানো হয়, তবে তা জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর হবে।”

জাতীয় ঐক্য ও উন্নয়নের রূপরেখা
প্রধানমন্ত্রী মোদি ভাষণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, আগামী পাঁচ বছরে ভারতকে বিশ্বে শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে।
- বিনিয়োগ বৃদ্ধি – দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে জোর
- অবকাঠামো উন্নয়ন – নতুন রেললাইন, হাইওয়ে, ও বিমানবন্দর
- ডিজিটাল ইন্ডিয়া 2.0 – প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান

সামাজিক সম্প্রীতি ও ভবিষ্যতের বার্তা
মোদি তাঁর ভাষণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “আমাদের ভিন্ন ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতি আমাদের আলাদা করে না—বরং একত্রিত করে।” দেশের যুবসমাজকে তিনি আহ্বান জানান সৃজনশীলতা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে।
উপসংহার: স্বাধীনতার ৭৯ বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ
স্বাধীনতা দিবস ২০২৫-এর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শুধু দেশের অর্জন নয়, চ্যালেঞ্জগুলিও সামনে তুলে ধরলেন। জনসংখ্যার গঠন পরিবর্তনের সতর্কবার্তা এবং জাতীয় ঐক্যের বার্তা ভবিষ্যতের পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
📢 আপনার মতামত জানান: আপনি কি মনে করেন দেশের জনসংখ্যা পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আইন প্রণয়ন করা উচিত? নিচে কমেন্ট করুন এবং আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।