সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে ভ্রমি (stray) কুকুরদের রাস্তা থেকে সরিয়ে শেল্টারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে রেবিস ও কুকুর কামড়ের ঘটনা প্রতিহত করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে, গোয়াতেও একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা ভ্রমি কুকুরদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করবে। এই নিবন্ধে আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট, সুবিধা–অসুবিধা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবো।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ও গোয়ার প্রতিক্রিয়া
সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি–এনসিআর-এ ভ্রমি কুকুরদের রাস্তা থেকে সরিয়ে শেল্টারে স্থানান্তরের জন্য আট সপ্তাহের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এই পদক্ষেপের অনুপ্রেরণায় গোয়ায় পশুসম্পদ ও পশুচিকিৎসা পরিষেবা বিভাগের অধীনে তিন সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন একজন সিনিয়র ভেটেরিনারি অফিসার, যাদের প্রধান দায়িত্ব হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এবং স্থানীয় পৌরসভার সাথে সমন্বয় করা।

সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ — একটি বিশ্লেষণ
সুবিধা:
- জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
- সৈকত এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি।
- গোয়ায় প্রায় ৫৬,০০০–৬০,০০০ ভ্রমি কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা।
চ্যালেঞ্জ:
- পর্যাপ্ত শেল্টারের অভাব।
- বর্তমানে প্রচলিত Animal Birth Control (ABC) নীতির সাথে সংঘাত।
- কিছু মহলের মতে সরাসরি স্থানান্তর মানবিক নয়।
উপশিরোনাম ৩: সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা
ABC নীতির সাথে এই নির্দেশনার সমন্বয় না ঘটলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। “ভ্যাকুয়াম ইফেক্ট”-এর ফলে পুরনো, শান্ত স্বভাবের কুকুর চলে গেলে তাদের জায়গায় আক্রমণাত্মক কুকুর প্রবেশ করতে পারে। এই কারণে স্টেরিলাইজেশন, ভ্যাকসিনেশন, মানসম্মত শেল্টার এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য।

উপসংহার
গোয়ার টাস্ক ফোর্স গঠন প্রমাণ করে যে তারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার গুরুত্ব বুঝেছে এবং ভ্রমি কুকুর সুরক্ষা ও জননিরাপত্তার ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করছে। কিন্তু শুধুমাত্র স্থানান্তর নয়, দীর্ঘমেয়াদী মানবিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধান গ্রহণ করাই হবে মূল লক্ষ্য।