বলিউডের জনপ্রিয় ক্লাসিক ‘Jo Jeeta Wohi Sikandar’ আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে তার গল্প, সংগীত ও চরিত্রগুলোর জন্য। কিন্তু সম্প্রতি, কোরিওগ্রাফার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান এমন এক তথ্য প্রকাশ করলেন যা সিনেমার পর্দার আড়ালের অজানা ঘটনা তুলে ধরেছে। তিনি জানিয়েছেন, দীপক তিজোরিকে ওই সিনেমায় এক দৃশ্যে চুমু খাওয়াতে হয়েছিল কারণ অন্য এক অভিনেতা সেই দৃশ্য করতে রাজি হননি!
ফারাহ খানের খোলামেলা স্বীকারোক্তি
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারাহ খান জানান, “আমি তখন শুধু কোরিওগ্রাফারই ছিলাম না, সহ-পরিচালক (AD) হিসেবেও কাজ করছিলাম। কিন্তু তার জন্য কোনো পারিশ্রমিক পাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “সেই সময় সিনেমায় একটি দৃশ্য ছিল যেখানে দীপক তিজোরির চরিত্রটিকে একজন মেয়েকে চুমু খেতে হতো। যিনি সেই চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল, তিনি করতে রাজি হননি। তখন আমিই পরিচালককে বলি, আমি এই দৃশ্যটি কোরিওগ্রাফ করব, আর দীপক সেটা করবে।”
ফারাহ খানের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন পড়ে যায়। অনেকেই বিস্মিত, আবার কেউ কেউ প্রশংসা করেছেন তাঁর সাহসী স্বীকারোক্তির জন্য।

‘Jo Jeeta Wohi Sikandar’—এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়
১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘Jo Jeeta Wohi Sikandar’ ছিল এক প্রজন্মের অনুভূতির প্রতীক। পরিচালক মনসুর খান-এর এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন আমির খান, দীপক তিজোরি, আয়েশা জুলকা সহ আরও অনেকে।
ফারাহ খান ছিলেন সেই সময় সিনেমার কোরিওগ্রাফার ও সহকারী পরিচালক। তাঁর কথায়, “আমরা সবাই তরুণ, উদ্যমে ভরপুর ছিলাম। সিনেমাটির প্রতিটি গান ও দৃশ্য আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ।”
চলচ্চিত্রটির “Pehla Nasha” গানটি তখনকার দিনে প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এর পেছনের কঠোর পরিশ্রম ও অবৈতনিক শ্রমের কথা কেউ জানত না — যা এবার ফারাহ খান প্রকাশ্যে আনলেন।

‘অবৈতনিক’ পরিশ্রমের তিক্ত স্মৃতি
ফারাহ খান আরও জানান, “আমি তখন এতটাই সিনেমার প্রতি নিবেদিত ছিলাম যে পারিশ্রমিকের কথা ভাবিনি। কিন্তু পরে বুঝেছি, পরিশ্রমের মূল্য থাকা উচিত।”
এই মন্তব্যে অনেকেই বলিউডের ‘অবৈতনিক ইন্টার্নশিপ’ কালচারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তরুণ প্রজন্মের অনেকে বলছেন, আজকের দিনে এমন ঘটনা হলে সেটি বড় বিতর্কে পরিণত হতো।

Conclusion:
ফারাহ খানের এই উন্মুক্ত স্বীকারোক্তি আবারও প্রমাণ করল, বলিউডের পর্দার পেছনে রয়েছে অসংখ্য অজানা গল্প। ‘Jo Jeeta Wohi Sikandar’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি এক প্রজন্মের স্মৃতি। তবে সেই স্মৃতির পেছনে যে অগণিত মানুষের নিরলস পরিশ্রম ছিল, ফারাহ খানের বক্তব্য তারই এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
আপনার কি মনে হয়, বলিউডে এমন অবৈতনিক কাজের সংস্কৃতি এখনো চলছে? নিচে মন্তব্যে জানান আপনার মতামত এবং শেয়ার করুন এই গল্পটি বন্ধুদের সঙ্গে!






