রাশিয়ান তেল নিয়ে আমেরিকার ক্ষোভ
ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা দাবি করেছেন যে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনে আন্তর্জাতিক বাজারে পরোক্ষভাবে লাভবান হচ্ছে। তাঁর মতে, এই “মুনাফালোভী কৌশল” যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্বচ্ছ প্রতিযোগিতা তৈরি করছে।
ভারত গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়া এশীয় দেশগুলোর দিকে ঝুঁকেছে, যেখানে ভারত অন্যতম প্রধান ক্রেতা।

শুল্কনীতি নিয়ে ট্রাম্প শিবিরের যুক্তি
শুধু ভারত নয়, বিশ্ব অর্থনীতির অন্যান্য অংশকেও সমালোচনা করেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমেরিকার সুরক্ষামূলক শুল্কনীতি (Protective Tariffs) একান্তই প্রয়োজনীয়, কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে।
তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক কমায় তবে দেশীয় শিল্প খাত আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমেরিকার বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখতে উচ্চ শুল্ক আরোপ অপরিহার্য। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় ফিরলে বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে।

ভারতীয় প্রতিক্রিয়া ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব
ভারত সরকার এখনও এই মন্তব্যে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের বিবৃতি শুধু কূটনৈতিক উত্তেজনাই বাড়ায় না, বরং ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণেও প্রভাব ফেলতে পারে।
রাশিয়ার সাথে ভারতের ঘনিষ্ঠ জ্বালানি সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন প্রশ্ন তুলছে।
উপসংহার
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্য স্পষ্টভাবে ভারতকে আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে এনেছে। ভারতের জ্বালানি কৌশল এবং রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠতা যে আগামী দিনে আরও বিতর্কের জন্ম দেবে, তা নিশ্চিত। তবে এই বিতর্ক একই সঙ্গে আমেরিকার শুল্কনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করছে।