দিল্লির পথকুকুর সংক্রান্ত বহুল আলোচিত মামলাটি এখন নতুন মোড় নিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়টি তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে স্থানান্তর করেছে। আগামীকাল (শুক্রবার) এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, যা পথকুকুর ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের ভবিষ্যৎ নীতিতে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।
কেন এই মামলাটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন শহরে পথকুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। একদিকে প্রাণীপ্রেমীরা দাবি করেন, কুকুরদের প্রাকৃতিক অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, পথকুকুরের আক্রমণ ও রোগ বিস্তারের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
পূর্ববর্তী শুনানিগুলিতে বিভিন্ন পক্ষ থেকে প্রমাণ ও যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে—যেখানে পথকুকুর নির্বীজন, খাবার সরবরাহ ও আশ্রয়স্থল তৈরির মতো পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে স্থানান্তরের অর্থ কী?
মামলাটি এখন তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে গিয়েছে মানে এই যে, আদালত এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও সামাজিক ইস্যু হিসেবে দেখছে। সাধারণত বড় বা জটিল মামলাগুলি তিন বা ততোধিক বিচারপতির বেঞ্চে স্থানান্তর করা হয়, যাতে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও পরিপূর্ণ রায় দেওয়া যায়।
এই শুনানিতে আদালত হয়তো পথকুকুর ব্যবস্থাপনার জন্য একটি নতুন জাতীয় নীতি সুপারিশ করতে পারে। এর মধ্যে থাকতে পারে—
- নির্বীজন প্রক্রিয়ার দ্রুততা বৃদ্ধি
- খাদ্য সরবরাহের নির্দিষ্ট নিয়ম
- নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কড়া ব্যবস্থা
মামলার পটভূমি
পথকুকুর সংক্রান্ত এই মামলা কয়েক বছর ধরে চলছে। দিল্লি পৌর কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এনজিও আদালতে ভিন্ন ভিন্ন দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
- প্রাণী সুরক্ষা আইন মেনে চলা
- কুকুরদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো
- আক্রমণাত্মক কুকুরদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
এই মামলাটি শুধু দিল্লি নয়, ভারতের অন্যান্য শহরের জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
উপসংহার
দিল্লির পথকুকুর মামলা এখন নতুন এক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। আগামীকালের সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কী সিদ্ধান্ত হয়, তা শুধু দিল্লির মানুষের জন্য নয়, বরং সারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
📢 আপনার মতামত জানান—আপনি কি মনে করেন, পথকুকুর নিয়ন্ত্রণে কড়া আইন হওয়া উচিত, নাকি তাদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করা উচিত? মন্তব্যে জানান এবং খবরটি শেয়ার করুন।