বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় প্রযোজনা সংস্থা Windows Production, যারা পরিবারকেন্দ্রিক গল্প ও মানবিক আবেগে ভরপুর ছবির জন্য পরিচিত, এবার একদম নতুন ধারায় পা রাখছে — হরর কমেডি। তাদের আসন্ন ছবি “ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল”, পরিচালনায় অরিত্র মুখার্জি ও গল্পে জিনিয়া সেন, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে হাসি, ভয় আর অনুভূতির এক অনন্য মিশ্রণ।
👻 হরর কমেডির নতুন অধ্যায় শুরু করল উইন্ডোজ প্রোডাকশন
বাংলা সিনেমায় হরর কমেডি খুব একটা দেখা যায় না। ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল এই শূন্যতা পূরণ করতে আসছে নতুন ধারায়। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে এক মনোরম বলরুম, যেখানে দুই যুগল নাচছে ট্যাঙ্গো, আর পেছনে কিছু রহস্যময় দর্শক তাকিয়ে আছে— যেন মজা আর ভয়ের নিখুঁত সমন্বয়।
ছবিতে অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী ও সোয়াম মজুমদার একজোড়া হিসেবে, এবং অন্য জুটিতে বনী সেনগুপ্ত ও স্বস্তিকা দত্ত। সঙ্গে আছেন কাঞ্চন মল্লিক, মনশি সিংহা, এবং অনামিকা সাহা-র মতো প্রখ্যাত অভিনেতারা।
চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন জিনিয়া সেন ও গোধুলি শর্মা।
🎥 পরিচালকের কণ্ঠে ভয়ের সঙ্গে হাসির গল্প
পরিচালক অরিত্র মুখার্জি বলেছেন,
“ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল আমাদের এমন এক জগতে নিয়ে যাবে যেখানে হাসি আর ভয় পাশাপাশি বাস করে। এই ছবির ভেতরে শুধু ভূত আর আতঙ্ক নেই, আছে উষ্ণতা, উন্মাদনা আর মানবিক সংযোগ।”
অরিত্রর মতে, এই ছবির উদ্দেশ্য দর্শকদের ভয় দেখানো নয়, বরং ভয়ের মধ্যেও জীবনের মজা ও মানবিকতার দিকটা তুলে ধরা। তিনি আরও বলেন যে উইন্ডোজ প্রোডাকশন তাঁকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে এই নতুন ধারার পরীক্ষায় অংশ নিতে।
✍️ লেখক জিনিয়া সেনের ভাবনা: কালিম্পং থেকে জন্ম নিল এক রহস্য
গল্পকার জিনিয়া সেন জানিয়েছেন,
“গত জুনে কালিম্পংয়ের এক পুরনো ঔপনিবেশিক হোটেলে থাকাকালীন একদিন একা হাঁটছিলাম ফাঁকা করিডরে। আলো-আঁধারির সেই নিস্তব্ধতা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল—যাদের দেখি, সবাই কি মানুষ? সেই ভাবনাই জন্ম দিয়েছিল ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এর।”
এই অভিজ্ঞতার মধ্যেই জন্ম নেয় এমন এক গল্প, যা কেবল ভয় নয়, সমাজের প্রতিফলনও বহন করে। এই কারণেই ছবিটি শুধু হরর নয়, বরং একটি সামাজিক প্রতিচ্ছবি হিসেবেও দাঁড়ায়।
💫 উইন্ডোজ প্রোডাকশনের নতুন ঝুঁকি: ভয়, রসিকতা ও আবেগের সংমিশ্রণ
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জি-র প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ, সবসময়ই পারিবারিক ও মানবিক গল্পে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। এবার তারা একদম বিপরীত পথে হেঁটে হরর-কমেডির জগতে প্রবেশ করছে।
এই পরিবর্তন বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য ইতিবাচক—কারণ এটি জঁর বৈচিত্র্য তৈরি করবে এবং তরুণ দর্শকদের আকর্ষণ করবে।
ছবিটি দর্শকদের এমন এক অভিজ্ঞতা দিতে চায়, যেখানে ভয় ও হাসির পাশাপাশি থাকবে উষ্ণ অনুভূতি এবং মানবিক গল্প বলার ছোঁয়া।
🎭 উপসংহার: ভয় আর হাসির সংমিশ্রণে এক নতুন বাংলা ছবি
“ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল” শুধুমাত্র একটি হরর কমেডি নয় — এটি হাসি, ভয়, ভালোবাসা ও সামাজিক ব্যঙ্গের এক নিখুঁত মেলবন্ধন।
যারা বাংলা সিনেমায় নতুন স্বাদ খুঁজছেন, তাদের জন্য এই ছবি হতে পারে এক নতুন অভিজ্ঞতার দরজা।






